বিগ ব্রেকিং ঃ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই নিখোঁজ নদীয়ার নডাল অফিসার অর্ণব রায়, দুশ্চিন্তার ভাঁজ জেলাশাসকের কপালে
HnExpress সুদীপ ঘোষ, নদীয়া ঃ ১৮ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২:৩০মিঃ থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না নডাল অফিসার অর্ণব রায়ের। সেই মর্মে বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই মিসিং ডায়েরি করা হয় কৃষ্ণনগর এর কোতোয়ালি থানায়। দীর্ঘ রাত পর্যন্ত কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় ছিলেন অর্ণব বাবুর স্ত্রী সহ জেলা পুলিশ সুপার রুপেশ কুমার, নদিয়ার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও জেলা প্রশাসনের বেশ কিছু আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটার পর থেকে হটাৎই নিখোঁজ হয়ে যান অর্ণব বাবু। অর্ণব বাবুর ব্যবহার করা দুটি মোবাইলও সুইচ অফ, ফলে তাতে দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামী ২৯শে এপ্রিল নদিয়ার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। দুটি লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত বুথের ইভিএম ও ভিভি প্যাটের দায়িত্বে ছিলেন তিনিই। এভাবে তার নিখোঁজ হয়ে যাওয়াটা নদিয়া জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ভাবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ। অর্ণব বাবুর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল দিগনগর শান্তিপুর এলাকায়। এই বিষয়ে অর্ণব বাবুর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কিছু জানাতে চাননি, বরং এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন সংবাদ প্রতিনিধিদের। তিনি শুধু এটুকুই বললেন যে, আমার স্বামী ভালো ভাবে ফিরে আসুক আমি শুধু এটাই চাই। একই প্রশ্ন DM সাহেব কে করা হয় তিনি বলেন মিসিং ডাইরি করা হয়েছে, স্পেশাল পুলিশ ফোর্স ইনভেস্টিগেশন করছে। খুব শীঘ্রই হয়ে তো জানা যাবে মূল বিষয়টি, এমনটাই আস্বস্ত করলেন প্রশাসন। কিন্তু তা স্বত্তেও প্রশ্নের অবকাশ থেকেই যাচ্ছে অর্ণব রায়ের সহধর্মিণীর এই রূপ আচরণের দরুন। তিনি কেন সাংবাদিকদের প্রশ্নকে এড়িয়ে যাচ্ছেন? আর কেনই বা মিডিয়া দেখলে উল্টো দিকে গিয়ে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন, তবে তিনি কি কিছু জানেন তাঁর স্বামীর অন্তর্ধান রহস্যের ব্যাপারে? নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো কারণ? সন্দেহ দানা বাঁধচ্ছে আমজনতা থেকে মিডিয়া, সকলের মনেই!