নাগেরবাজার বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রাণ দিল এক কিশোর

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : নাগেরবাজারের কাজিপাড়ায় মঙ্গলবার সকালে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে প্রাণ গেল এক কিশোরের। মৃত কিশোরের নাম বিভাস ঘোষ(৭)। সে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। এছাড়াও আহত হয়েছেন অজিত হালদার, রাজেন রাজভর, হারান সরকার, প্রেম গুপ্তা, চন্দ্রশেখর গুপ্ত ও নবকুমার দাস-সহ বেশ কয়েকজন। আহতদের আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, বিভাসও এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিল। তাকে এখান থেকে এস এস কে এম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি তাকে। পথেই মারা যায় সে।

পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, ফরেনসিক দল আসার আগেই পুরসভার লোকজন দুর্ঘটনাস্থল প্রথমে ঝাঁট দিয়ে, পরে জল দিয়ে ধুয়ে দিয়েছে। এটা কি প্রমাণ লোপের বিষয় নয়! প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরাই।

এদিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক সুজিত বসু-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা। হাজির হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এন আই এ, এবং সি আই ডি-র কর্তাব্যক্তিরা।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাসন্তী সুইটস নামক এক মিষ্টির দোকানের পাশে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। প্রথমে ভাবা হয়েছিল মিষ্টির দোকানে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরণ ঘটেছে মিষ্টির দোকান লাগোয়া ফলের দোকানে। আহত হয়েছেন ওই ফলবিক্রেতাও। তাঁর অবস্থাও সঙ্কটজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও পুলিশের ধারণা।

এরই সঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি ধূপকাঠি বিক্রেতার ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকার মানুষের কথায়, এদিন সকাল থেকেই এক অপরিচিত ধূপকাঠি বিক্রেতাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে ঘটনাস্থলের আশেপাশে। সম্ভবত এটি তারই ব্যাগ। কিন্তু তিনি কে? এবং কোথায় গেলেন দূর্ঘটনার পর? প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ মহলেই। সূত্রের খবর, এই বিস্ফোরণে সকেট বোমা ব্যবহৃত হয়েছে। যা গড়িয়ে দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। এধরনের বোমা মূলত তৈরি হয় নদীয়ার সীমান্ত এলাকায়। সেই বোমা এখানে কী করে এলো তা নিয়েও ধন্দে পুলিশ।

Leave a Reply

Latest Up to Date

%d bloggers like this: