নদীর জল দূষণের কবলে মরছে মাছ, আতঙ্কিত মানুষ
HnExpress ১৮ই মার্চ, অভিজিৎ হাজরা, হাওড়া : গলদা চিংড়ি ,ভোলা, ট্যাংরা-র পাশাপাশি একাধিক প্রজাতীর মাছ পাওয়া যাচ্ছে নদীতে। তবে কোন মাছ মরা, তো কোন মাছ জ্যান্ত। সম্প্রতি নদীর জল দূষণের কবলে মরছে মাছ, আতঙ্কিত হয়ে পরছে মানুষ। আর এই দৃশ্যের সাক্ষী হাওড়ার উলুবেড়িয়ার নদী তীরবর্তী এলাকার অধিবাসীরা। বেশির ভাগ মানুষের আশঙ্কাই নদীর জল দূষিত হওয়ার কারণেই এটা ঘটেছে।
তবে ইতিমধ্যেই এই খবর মৎস দফতরের আধিকারীকরা পেয়ে গেছেন, এবং তারা নদীর জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। সরকারি সূত্রের খবর, হুগলী নদীর তীরবর্তী উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বর, কালসাপা কালীনগর, কাঁজিয়াখালি, বাঁশতলা, হীরাপুর, জগদীশপুর, হীরাগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় নদীর জলের তীরের দিকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভাসছে। কোনো মাছ জ্যান্ত, আবার কোনো মাছ মৃত। হাত দিয়ে সেই মাছ ধরতে পারায় কিশোর থেকে মহিলা সকলেই মাছ ধরতে ব্যাস্ত।
অনেকে আবার ছাঁকনি, জাল, খ্যাপলা জাল ফেলেও মাছ ধরছে। তবে কেন হঠাৎ করে নদীতে এমন মাছ ভেসে উঠলো? পূর্ব কালীনগর গ্ৰামের এক বাসিন্দা জানালেন, নদী থেকে অনেক বেশি পরিমাণে মাছ বাজারে আসছে, ফলে মাছের দাম অনেক কম। যদিও পরক্ষনেই তিনি বললেন, হয়তো নদীর জল দূষিত হওয়ার কারণেই এমনটা ঘটেছে। নদীর মাছ যে শুধুমাত্র উলুবেড়িয়াতেই পাওয়া যাচ্ছে তা নয়। এই মাছ নদীর ওপারে দক্ষিণ ২৪ পরগণার অছিপুর, বুড়ুলেও একই অবস্থা।
নদীতে মাছ এভাবে পাওয়া প্রসঙ্গে অনেকেই বলছেন, অনেক সময় নদীতে মাছ ধরার জন্য জলে বিষ দেওয়া হয়। এবারেও সেইরকমই কিছু হয়েছে হ’য়ে তো। অন্যদিকে নদীতে জল দূষণের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে, আতঙ্কিত হয়ে ওঠে এলাকার মানুষ। কারণ অনেকের মতে, যেহেতু নদীর জলকে পরিশোধন করে যাওয়ার জন্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে, আর সেইজন্য অনেকেই বিপদের আশঙ্কা করছেন। উলুবেড়িয়ার পৌরপ্রধান অভয় দাস এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,”অযথা আতঙ্কিত হবার কারণ নেই।
আমরা মৎস দফতরের পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও বিষয়টা অবগত করেছি। এছাড়াও নদীর জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে”। অন্যদিকে রাজ্য মৎস দফতরের মাইক্রোবায়োলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের আধিকারীকরা হুগলী নদীর একাধিক জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিন বিধায়ক ইদ্রিস আলী বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে মৎস মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। খুব শীগ্রই এর সমাধান হবে।