কাচগেড়িয়া গ্রামে উদ্ধার হওয়া ঝুলন্ত মৃতদেহর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
HnExpress বিশেষ প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর : গত ৪ঠা অগাস্ট আনন্দপুর থানার অন্তর্গত কাচগেড়িয়া গ্রামে উদ্ধার হওয়া ঝুলন্ত মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ১৭ই সেপ্টেম্বর এর মধ্যে আদালতের কাছে জমা দিতে হবে ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট। উল্লেখ্য, উদ্ধার হওয়া তাপস দের মৃত্যুর পিছনে পরিবারের দাবি পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হতে হয়েছে তাপস দে কে। অভিযোগের নিশানায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জয় পান। যদিও সঞ্জয় পানের দাবি পরিবারের আভ্যন্তরীণ গন্ডগোলের জেরে আত্মহত্যা করে তাপস দে। সঞ্জয় পানের এই দাবিকেই কার্যত সীলমোহর দিয়ে ময়নাতদন্ত এর রিপোর্টে পাওয়া যায় আত্মহত্যার তত্ত্ব। কিন্তু পরিবার এর পিছনে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন, সেই মতো আগস্ট মাসের 8 তারিখ তপব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে পুনরায় ময়না তদন্তের আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেন মৃত তাপস দের ভাইপো ইন্দ্রজিৎ দে। আদালত আবেদনের মঞ্জুরী দিয়ে state forensic medicine এবং sskm হসপিটালের ডাক্তারদের তৈরি করা বিশেষ দলের তত্ত্বাবধানে নতুন করে ফের ময়না তদন্ত এর নির্দেশ দেন। একই সাথে তদন্তের গতি আনতে ৩রা সেপ্টেম্বরের এর মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। সেইমতো আদালতের নির্দেশের কপি রবিবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের সুপারের হাতে তুলে দেন ইন্দ্রজিৎ দে। পরিবারের অমতে ময়না তদন্ত হওয়ায় মৃতদেহ এখনো গ্রহণ করেনি তাপস দের পরিবার। স্বভাবতই নতুন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া ও মৃতের পরিবার এর অভিযোগের স্বপক্ষে আদালত এর পর্যবেক্ষণে খুশি ইন্দ্রজিৎ ও তার পরিবার। অন্যদিকে এরপর থেকেই এলাকা ছাড়া মৃত তাপস দের গোটা পরিবার। পরিবারের পক্ষে ইন্দ্রজিতের অভিযোগ পুলিশ কোন রকম সহযোগিতা করছে না ঘরছাড়াদের গ্রামে ফিরিয়ে আনার জন্য। এ ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের নাম জড়ানোয় বিব্রত জেলা তৃণমূল শিবির। যদিও ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ জেলা তৃণমূলের সভাপতি থেকে অন্যান্য নেতা কর্মীরা।