দুষ্কৃতিদের পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে পর পর চলল গুলি, ঘটনাস্থলেই নিহত তৃণমূল বিধায়ক
HnExpress অলোক আচার্য, মাজদিয়া : প্রায় ভর সন্ধ্যাবেলায় শত-শত মানুষের মাঝখানে গুলির পর গুলি করে খুন করা হল এক তৃণমূল বিধায়ককে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় আততায়ীদের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে খুন হন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস। মাজদিয়ার ফুলবাড়ি এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর কিছু পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিসবাহিনী। কে বা কারা গুলি চালাল? এবং কেনইবা গুলি চালল তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
সুত্রের খবর, শনিবার প্রায় নিজের বাড়ির কাছেই মাজদিয়ার ফুলবাড়ি অঞ্চলে একটি স্বরস্বতী পুজোর উপলক্ষে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে দুষ্কৃতিদের ছোঁড়া গুলিতে খুন হলেন নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। মঞ্চ থেকে ঠিক নামার সময় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পর পর একাধিকবার গুলি করে পালায় দুষ্কৃতিরা। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ঘটনার অভিঘাত সামলেই তৃণমূল নেতারা তাঁকে নিয়ে কৃষ্ণনগরের জেলা হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক সত্যজিৎ ছিলেন জেলা যুব তৃণমুলের সভাপতিও। এদিকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে নদিয়া জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব৷ অন্য দিকে কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছেন নির্বাচিত সিআইডি -র একটি দল। পৌঁছেছে এলাকার বিশাল পুলিশ বাহিনীও৷ ঠিক কী কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে বিধায়ক খুনে ব্যবহৃত বন্দুকটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। হ্যান্ড মেড রিভলবার থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। দুষ্কৃতিদের ধরতে ইতিমধ্যে পুলিশ জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে।
তবে খুনের কারণ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল এর সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের অভিযোগের তীর কিন্তু বিজেপির দিকে৷ তাঁর অভিযোগ, মুকুল রায়ের কর্তৃত্ব উপেক্ষা করেই সত্যজিৎ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন এই জায়গা থেকে।” এর শেষ আমি দেখেই ছাড়ব, এমনটাই বলে হুঁশিয়ারি দেন গৌরীশঙ্কর বাবু৷ আবার অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, ”এর আগেও জয়নগর এর বিধায়ককে খুনের চেষ্টায় বিজেপিকে জড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল। পরে কারা ধরা পড়েছে সবাই সেটা জানেন।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল সত্যজিতের।