December 11, 2024
Img 20181009 Wa0007.jpg
Advertisements

HnExpress দেবনাথ চক্রবর্ত্তী, কলকাতা : নারীকে আপন ভাগ্য জয় করতে বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ । গুরুদেবের সেই মানসপ্রতিমা যখন ঘরে ঘরে লাঞ্ছিত, নিপীড়িত এবং ধর্ষিতা-সেখানে মৃন্ময়ী প্রতিমা দেবী দুর্গার পুজা সার্থকতা লাভ করতে পারে না যদি না মানুষই তাদের কল্যাণসাধন করেন । আজ প্রায় প্রতি ঘরে সরকারী ‘ ক্ণ্যাশ্রী ‘ প্রকল্পের সহযোগিতায় শিশুকন্যারা হয়ে উঠছে আত্মমর্যাদাসপন্না। প্রতিবাদ করছেন কন্যাভ্রূণ হত্যার। এইভাবেই শিশুকন্যাদের বিকাশ সম্ভব হচ্ছে।

বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘শ্যামসুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স সেই পথকে আরও সুগম করতে এসেছে শিশুকন্যাদের সমাজে অগ্রাধিকার দেওয়ার স্বার্থে। সম্প্রতি তারা রবীন্দ্রসদনে আয়োজন করেছিল্য নারী কল্যাণের উপযোগী একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান ‘দুর্গা এবং বন্ধুরা’। পঞ্চম বার্ষিক এই অনুষ্ঠানে পিছিয়ে পড়া ও অনাথিনীদের হাতে তুলে দেওয়া হল ‘বর্ধিত ক্ণ্যাশ্রী’ যা তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহযোগী করার উদ্দেশ্যে। শ্যামসুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্সের কর্ণধার রূপক সাহার তত্ত্বাবধানে এদিনের অনুষ্ঠানটি মুখরিত হয়ে ওঠে বহু শিশুর উপস্থিতিতে। মৃন্ময়ী পুজার আগেই মূলত চিন্ময়ী পুজার একটি আদর্শ উপস্থাপনা করলো স্বর্ণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

এদিনের সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানটি আনন্দমুখর হয়ে উঠেছিল ‘দুর্গা’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে, যা শরতের হিমেল সন্ধ্যায় নিয়ে এলো মহাশক্তির ব্যাপকতা যা ভালোবাসার শক্তি এবং আনন্দের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত। অনুষ্ঠানে মৌনিতার একক আবৃত্তি ‘কাশফুলের স্বপ্নপথ’ সামগ্রিকভাবে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রূপক সাহা বলেন, ‘দুর্গা এবং বন্ধুরা’ অনুষ্ঠানটি একটি সমাজকল্যাণ প্রকল্প যা মূলত পিছিয়ে পড়া ও অনাথ শিশুকন্যাদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় প্রকৃত নারীশক্তি বিকাশের স্বার্থে । 

‘চিত্রাঙ্গদা’-র মতো একটি সংগঠন এর ঐকান্তিক সহযোগিতায় মহার্ঘ ব্যবস্থাপনার জন্য কর্তৃপক্ষ তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানান। কর্ণধার রূপক সাহা সেইসব অনাথ শিশুদের মধ্যে ‘দুর্গা’ খোঁজার চেষ্টা করেন এবং তিনি মনে করেন এইভাবেই শিশুদের সঠিক পরিচর্যা ও সমাজে তুলে ধরার মধ্যেই প্রকৃত মানব কল্যান সম্ভব। প্রকৃত অর্থে ‘দুর্গা’ হলো সেইসব শিশু যারা ছয় থেকে ষোলো বছর বয়সী দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত চিত্রাঙ্গদার ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা, বৃত্তিমূলক জ্ঞান, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে শ্যামসুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়।

সারা বাংলায় সাড়া ফেলে দেওয়া ‘শ্যামসুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স’-এর পথ চলা শুরু হয় অধুনা বাংলাদেশের ঢাকায়। পরবর্তীকালে তারা চলে ত্রিপুরার আগরতলায়। গত ২০১১ সাল থেকে রাসবিহারী উপর ট্রাঙ্গুলার পার্কের কাছে। বর্তমানে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শাখা তৈরি করেন যথাক্রমে বেহালা ও বারাসাতের ডাকবাংলো মোড়ে। এই ঐতিহ্য বহমানতার মধ্যেই বেঁচে থাকে প্রতিষ্ঠান, শিল্প, সমাজ ও সংস্কৃতি আর বহু বহু অনাথ শিশুকন্যাদের প্রেরণা। এগিয়ে গর্বিত সমাজ।

Advertisements

Leave a Reply