দীপ্তদীপ সঙ্গীত একাডেমির উপস্থাপনায় মহিষাসুরমর্দিনী
HnExpress অলোক আচার্য নিউব্যারাকপুর : শুভ মহালয়ার পূর্ণ তিথিতে নৃত্য গীতি আলেখ্য লাইভ মহিষাসুরমর্দিনী মঞ্চস্থ করল নিউব্যারাকপুর দীপ্তদীপ সঙ্গীত একাডেমী। সোমবার কৃষ্টি অডিটোরিয়ামে একাডেমির পঞ্চম বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল মহিষাসুরমর্দিনী।
ভাষ্য ও চন্ডীপাঠে ছিলেন শিক্ষক অম্লান দাশগুপ্ত। উদ্বোধনী পাঠ ও গানে এবং সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন একাডেমির অধ্যক্ষা শিবানী চ্যাটার্জি। নৃত্য পরিচালনায় উষশী ড্যান্স গ্রুপের অধ্যক্ষা সর্বাণী গাঙ্গুলি। নাটক পরিচালনায় শ্রীজিৎ সিনহা। প্রতিটিরই কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে দেবী দুর্গা। মহিষাসুরমর্দিনীতে মহামায়া অসুর নিধনে নানা রুপে প্রকাশমান।
কখনও তিনি কাত্যায়নী, ব্রক্ষ্মানী, মাহেশ্বরী, কৌমারি, বৈষ্ণবী তো কখনও তিনি বারাহী, নারসিংহী, ঐন্দ্রি, চামুন্ডা। মূলত দুষ্টের দমনে আর শিষ্টের পালনে হিসাবেই মর্তে আর্বিভূতা হন জগন্মাতা। মহালয়ার পুণ্য লগ্নে অম্লান দাশগুপ্তের উদাত্ত কণ্ঠে সংস্কৃত শ্লোক পাঠ আগমনীর সুরকে যেন এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়।
অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান হয় কালোজয়ী রচয়িতা বানি কুমার,বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র এবং পঙ্কজ কুমার মল্লিককে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নিউব্যারাকপুর বিশ্বসেবাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ঠাকুর শ্রী শ্রী সমীর ব্রহ্মচারী।
এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নিউব্যারাকপুর পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান মিহির দে, আই এ এস নারায়ণ চন্দ্র সরকার, পুর দলনেতা প্রবীর সাহা, পুরপিতা অভিজিৎ বিশ্বাস, প্রবীণ নাট্য ব্যাক্তিত্ব গৌর মুখোপাধ্যায়, দেবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, সলিল রায় প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পূরবী রায় এবং অম্লান দাশগুপ্ত। মঞ্চ, আলো, শব্দ প্রক্ষেপনে এবং কুশলীদের সাজসজ্জার ছাপ ফেলে দেয়। দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ভীষণ ভালো অনুষ্ঠান….আকর্ষণীয় ।