তৃণমূল নেতাদের পুলিশি হেফাজত

0

HnExpress দেবাশিস রায়, কাঁচরাপাড়া : ২২ অক্টোবর, সোমবার কাঁচরাপাড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুলিয়া রোডে তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ধৃত ৪ জনকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল বারাকপুর আদালত। ধৃতরা সকলেই ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ। এরমধ্যে রয়েছেন দুই যুব তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত দাস, রাজা সরকার এবং তৃণমূল কর্মী বিদুর প্রসাদ ও টিঙ্কু রাজবংশী।

উল্লেখ্য, বীজপুরের এই দুই যুবনেতা, মূলত সুদীপ্ত গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই হালিশহর ও কাঁচরাপাড়ায় দফায় দফায় রেল, রাস্তা অবরোধ করে তাঁর সমর্থকরা। এমনকি বীজপুর থানাও ঘেরাও করা হয়।

পুলিশি হেফাজতে সুদীপ্ত ও রাজা।

বুধবার ধৃতদের বারাকপুর আদালতে তোলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩৪৭, ৩৪৮, ৪২৭, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৭ ও ২৫/২৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেস নম্বর ৫৯১, তারিখ ২৩-১০-২০১৮। পুজোর ছুটি থাকায় এদিন বিশেষ আদালতে মামলাটি ওঠে। আদালতের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এসিজেএম প্রান্তিকরঞ্জন বসু দুপক্ষের সওয়াল- জবাব শুনে ধৃতদের জামিনের আর্জি খারিজ করে তাদের তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও পুলিশ সাতদিনের জন্য ধৃতদের হেফাজতের আর্জি জানিয়েছিল।
এদিকে মঙ্গলবারই ধৃত নেতা সুদীপ্তর সঙ্গে দেখা করে যান হালিশহর পুরসভায় অনাস্থা আনা ১১ কাউন্সিলরই।

এদিন সকাল থেকেই আদালত চত্বরে ছিল র‌্যাফ ও কমব্যাক্ট ফোর্স। হাজির ছিলেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং, হালিশহরের প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রবীর সরকার প্রচুর তৃণমূল কর্মী-সমর্থক।

অর্জুন সিং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিযোগ করে বলেন, অনেকদিন ধরে কাঁচরাপাড়ার মানুষ রায় পরিবারের হাত থেকে মুক্তি চাইছে। এই মুক্তির লড়াইতে তো কিছু কষ্ট হবেই। সেই কষ্ট হচ্ছে বলেই দলের কর্মীরা লড়াই করেছে। হাজার হাজার মানুষ ধৃতদের জন্য রাস্তায় নেমেছিল। অর্জুনের অভিযোগ, রায় পরিবার বরাবর চক্রান্ত করে, এখনও চক্রান্ত করছে। কিন্তু কাঁচরাপাড়ার মানুষ চাইছে ওদের থেকে মুক্তি পেতে। তিনি জানান, এদিনের ঘটনায় যে বোমা ছুড়েছে সে তো এলাকারই এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে ঘুরছে, তার ছবিও ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছবি রয়েছে পুলিশের কাছেও। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত মুকুলবাবুর।

জানা গেছে, চারজনের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছিল বীজপুর পুলিশ। কার ভিত্তিতে বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, আদালতে আনা হলেও ধৃতদের কাছ থেকে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি। জানা গেছে, আদালত পরবর্তী শুনানির দিন সিডি ও ইনজুরি রিপোর্ট দেখাতে বলেছেন।

Leave a Reply

%d bloggers like this: