October 11, 2024

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জন জীবন, ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা দেশ জুরে

0
Advertisements

HnExpress পল মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর ঃ সপ্তাহ জুড়ে চলা তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। জায়গায় জায়গায় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘরে বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। দেশের ওপর দিয়ে তাপ প্রভাবের কারণে এই তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে হাওয়া দপ্তর সুত্রে।

দিন আর রাত নেই। সর্বক্ষণ তীব্র গরমের অসহনীয় কষ্ট এখন রাজ্যবাসীর নিত্য সঙ্গী। পঞ্জিকার হিসেবে চলছে বৈশাখের শেষ সপ্তাহ, এরপর জ্যৈষ্ঠমাস অর্থাৎ গ্রীষ্মকে বিদায় জানাতে এখনও আরও দেড় মাস মত বাকি।
গ্রীষ্মের গরম ঠিকই রয়েছে কিন্তু বৈশাখী ঝড় বা বৃষ্টির দেখা নেই। দিনে মাথার উপর তপ্ত সূর্য আর রাতে ঘরের মধ্যে গরম বাতাসের ভ্যাপসা অনুভূতি। স্বস্তি নেই কোথাও। সব কিছুর মাঝে প্রত্যাশা শুধু একটু বৃষ্টির।

গত এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় তাপপ্রবাহ ছিল যেখানে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ছিল ২৮-২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অর্থাৎ রাত আর দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য মাত্র ৭ থেকে ৮ ডিগ্রী মত। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরও কিছু দিন রাজ্যবাসীকে এই পরিস্থিতি সহ্য করতে হতে পারে। তবে ফণীর পর বায়ু নামের আরেকটি ঝড়ের অপেক্ষায় অপেক্ষারত গোটা দেশ তথা রাজ্যবাসী সহ জেলাবাসীরাও। হাওয়া অফিস আরো জানায় যে, এই সময়ের মধ্যে বৃষ্টির দেখা মেলার সম্ভাবনা খুবই কম।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত বছরে একই সময়ে গড় যে তাপমাত্রা ছিল, এ বছর তা গড়ে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রী বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, শুধু রাজ্য নয়, সারাদেশে দাবদাহের চিত্র প্রায় একইরকম। কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সব শ্রেণির মানুষের চলতি জীবনযাত্রা। প্রচন্ড গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে বৃষ্টির জন্য ভগবানকে কাতর ও করুন ভাবে ডাকছেন তারা। গত কয়েকদিনের চলমান তাপ প্রবাহে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার মানুষদের পাশাপাশি পশু পাখিদের প্রাণও হয়ে উঠেছে ওষ্ঠাগত। প্রচণ্ড রোদ ও ভ্যাপসা গরমে একরকম স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের কর্মজীবন। চলতি বছর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এই অবস্থায় গরম জনিত নানা রোগ-বালাই থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের তরল খাবার এবং ঠাণ্ডা জায়গায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রখর রৌদ্র ও তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করছেন সকলেই।
তীব্র দূর্বিসহ দাবদাহের গরমে বিপাকে পড়েছে পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। জরুরী কাজ না থাকলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউই। অনেকেই রাস্তার পাশের শরবত ও আঁখের রস খেয়ে মেটাচ্ছেন তৃষ্ণা। তবে আপাতত সকলেই এই গরম থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখীর ন্যায় অপেক্ষা করছেন তা বলাই বাহুল্য।

Advertisements

Leave a Reply