November 12, 2024

তিন বছরেই ঝাঁ-চকচকে পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ড সহ গঙ্গারামপুর শহর

0
Advertisements

HnExpress পল মৈত্র ,দক্ষিন দিনাজপুর ঃ পুরসভায় ক্ষমতায় ছিল বামেরা আর সেসময় পুরবাসী বা পুরএলাকার কোন রকম কাজই করেননি তারই একডালি অভিযোগ ছিল আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে। এরপর গঙ্গারামপুর পুরসভায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস, তারপরই নতুন সাজে এখনো সাজছে দক্ষিন দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা।

বাম আমলে এই নিয়ে অভিযোগ ছিল বিস্তর। এখন পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডেই তৈরি হয়েছে পাকা রাস্তাঘাট, জলনিকাশি ব্যবস্থা, বিভিন্ন সৌন্দর্যায়নের কাজও করেছে ও কর চলেছে পুরসভা। সবমিলিয়ে নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে গঙ্গারামপুর শহর। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েতের কয়েকটি মৌজা নিয়ে তৈরি হয়েছিল গঙ্গারামপুর পুরসভা। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট সরকার। একাধিক উন্নত পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার আশ্বাস পেয়েছিলেন পুর নাগরিকরা। তবে তার কোনওটারই বাস্তবায়ন হয়নি।

২০১৫ সালে পুরসভা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পুর নাগরিকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উন্নয়নের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে নতুন সরকার। দীর্ঘ ২১ বছরে বামেরা যা করতে পারেনি, মাত্র তিন বছরেই তা করে দেখিয়েছে দেখিয়েছেন বর্তমান রাজ্য সরকার। পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে পানীয় জলের ব্যবস্থা, নর্দমার জল নিকাশিব্যবস্থা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি, পাকা রাস্তাঘাট, সভেপার আলো, রাস্তায় রাস্তায় হাই মাস্ট আলো, গোয়ালখাঁড়ি শশ্মানে বৈদ্যুতিক চুল্লি, আধুনিক স্টেডিয়াম, বিশ্ববাংলা প্রতীকী তোরণ, ফোয়ারা, খেয়াঘাটের জন্য বাঁধানো সিঁড়ি তৈরি, সাথে আরো অনেক কিছুর কাজ চলছে। পুরসভার নানান উন্নয়নমূলক কাজে খুশি হয়ে মুখে হাসি ফুটেছে গঙ্গারামপুরবাসীদের।

এখন বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে উন্নত ও আধুনিক বিভিন্ন পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ। গঙ্গারামপুরের কালদিঘিরও সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে বর্তমানে। কালদিঘির পাড়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় টয়ট্রেনের মত ট্রেনও চলবে। এই পার্কে থাকা টুরিস্ট লজটিরও সংস্কার করেছে পুরসভা। এছাড়াও ঐতিহাসিক বানগড়কেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা আরও হয়েছে আধুনিকরণ ও ঝাঁ-চকচকে। গঙ্গারামপুর পুরসভার উদ্যোগে ও বর্তমান(তৃণমূলের) পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্রের একান্ত চেষ্টায় ও উন্নয়নের ধারায় তিন বছরে নানান উন্নয়নমূলক কাজ ও এতকিছু পেয়ে বেজায় খুশি এলাকাবাসীরা। অন্যদিকে পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্রের এহেন উদ্যোগে ও উন্নয়নমূলক কাজে জেলার বিভিন্ন মহলের একাংশরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Advertisements

Leave a Reply