তাজপুর এলাকা এখন ধান, পাট চাষের পাশাপাশি ফল চাষেও এগিয়ে

0

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ দিনাজপুর : দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তথাকথিত প্রাচীন পলিমাটি অঞ্চল আর সেই মাটিতে প্রধানত চাষ ধান, পাটের বদলে জমিতে ফল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে কিছু কৃষক। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের তাজপুর এলাকার কৃষক কলিমুদ্দিন মন্ডল ইতিমধ্যেই ধান-পাটের বদলে নিজের জমিতে সফলভাবে ফলের চাষ করে একদিকে যেমন কৃষিকাজ বিষয়ে কৃষকদের গতানুগতিক চাষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে খানিকটা সক্ষম হয়েছেন অপরদিকে জমিতে ফল চাষ করে অনেক বেশী লাভের টাকা নিজের ঘরে তুলেছেন। কৃষক কলিমুদ্দিন মন্ডল বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে আমি ফল চাষ করছি। আগে আমি ধানের চাষ করতাম। কিন্তু ফল চাষ করে আমি অনেক বেশী লাভ করছি। তিনি এও জানান যে কুমারগঞ্জ এলাকার তার জমিতে মৌসম্ভী চাষ ভাল হলেও তার চাষ করা আঙ্গুরের টক হওয়ার কারনে তিনি আঙ্গুরের দাম কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকার বেশী পাচ্ছেন না। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই তিনি বিডিও থেকে শুরু করে কৃষি আধিকারিকদের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। মৌসম্ভী- আঙ্গুরের পাশাপাশি স্ট্রবেরী চাষ করেও লাভবান হয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন মাত্র ২ শতক জমিতে স্ট্রবেরী চাষ করে এবং উৎপাদিত স্ট্রবেরী বিক্রি করে তিনি ৮০০০ টাকা পেয়েছেন গতবছর। প্রসাঙ্গত ধান সহ অনান্য ফসলের সাথে ফল চাষের লাভের তুলনা টানতে গিয়ে বলেন ১ বিঘা জমি থেকে যেখানে ২০ মন উৎপাদিত হচ্ছে সেখানে ১ বিঘা জমি থেকে ফল চাষ করে আমি বছরে ১০০০০০ টাকা আয় করছি। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ দক্ষিণ দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের হর্টিকালচার চার সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন চিরাচরিত ভাবে ধান, গম, আলু প্রভৃতি চাষের থেকে ফল এবং সবজি চাষ সত্যিই লাভজনক। সবজি চাষের থেকেও ফল চাষ লাভজনক। কারন ফল চাষের ক্ষেত্রে একবার বিনিয়োগ করলে আমরা দীর্ঘদিন তার ফলনটা পেতে পারি। শুধু একটু পরিচর্যা প্রয়োজন। এবং ফল চাষ করে বছরের শেষে মোটা অংকের টাকা লাভ করা সম্ভব। সুতরাং সেদিক থেকে দেখতে গেলে কৃষক কলিমুদ্দিন মন্ডলের ফল চাষের সফলতা জেলার অন্যান্য কৃষকদেরও ফল চাষের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে এমনটাই মনে করছে কৃষি নির্ভরশীল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা।

Leave a Reply

%d bloggers like this: