কেএমডিএ -এর বানানো ঢালাই রাস্তা ভেঙ্গে বালি বোঝাই লড়ি ড্রেনের ভিতর
HnExpress ইন্দ্রানী সেনগুপ্ত, মধ্যমগ্রাম ঃ গতকাল মানে ৯ই জানুয়ারী মধ্যমগ্রাম অঞ্চলের শ্রীনগর এলাকার বাঁশতলা বাজারের সামনে বালি বোঝাই লড়ি উল্টে নতুন ঢালাই রাস্তা ভেঙ্গে গাড়ি হাইড্রেনে ঢুকে যায়। এদিন সকাল প্রায় ৭:৩০ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এই ঘটনায়। এলাকার প্রতক্ষ্যদর্শীদের কথায়, এই ঢালাই রাস্তাটি নাকি তৈরি হয়েছে মাত্র দের মাস মত। তাও আবার হাই ড্রেনের উপর তৈরি এই রাস্তা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, রাস্তা তৈরির শুরু থেকেই এলাকার পৌরপিতা সহ কন্ট্রাক্টর ও ইঞ্জিনিয়ার সবাইকেই জানানো হয়েছিল যে রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের মেটেরিয়াল দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে ভবিষ্যতে বড় রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আর ঠিক তাই ঘটল মাস দেড়েক এর মাথায়, ঢালাই রাস্তা ভেঙ্গে হাই ড্রেনের ভিতর ঢুকে যায় বালি ভর্তি লড়ি। যদিও কোন হতাহতের খবর নেই। তবুও এলাকাবাসীর ক্ষোভ যে, এতবার পৌরপিতা ও কন্ট্রাক্টরদের জানানোর পরেও কোন একশনই নেওয়া হয়েনি। না রাস্তার কোন ব্যবস্থা করা হয়েছে, আর না এই কাঁচা রাস্তায় ভারী যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের আরও অভিযোগ যে, পৌরসভাকে জানানোর পরেও তারাও কোন নোটিশ বোর্ড লাগায়নি রাস্তার ধারে। আজ দুর্ঘটনায় কোন মানুষের ক্ষতি হয়েনি ঠিকই, তবে ভবিষ্যতেও যে এমনটা হবে না তার গ্যারান্টি কে দিতে পারে?
কারণ তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, রাস্তার ধার ঘেষেই বহু গরীব মানুষের বাড়ি রয়েছে। আর সেই সব বাড়ির বাচ্চারা রাস্তার উল্টো দিকের মাঠে খেলা করে। আর সেই মাঠে যেতে গেলে এই কাঁচা ঢালাই রাস্তার উপর দিয়েই তাদের যেতে হবে। পাড়ার ভিতরে এত ভারী গাড়ি যদি ঢোকে, তাও আবার এত স্পিডে, তাহলে যে কোন মুহুর্তেই আমাদের বাচ্চাদের বড়রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এবং এই দুর্ঘটনার শিকার এলাকার যেকোনো মানুষই হতে পারে।
অন্যদিকে এলাকার পৌরপিতা পঙ্কজ কান্তি চন্দ জানালেন, এই রাস্তার কাজের দ্বায়িত্ব কেএমডিএ -র উপর ছিল। রাস্তার নিয়ে এলাকাবাসীর মতামত আমি তাদের জানিয়ে ছিলাম। তাঁরা বলেছিলেন যে, যেটা সঠিক পদ্ধতিতে হওয়া উচিত আমরা সেটাই করছি। যদিও তারপরেও মাত্র মাস দেড়েকের মাথায় এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল, তার জন্য সত্যি দুঃখিত। তবে এখন যেটা মনে হচ্ছে যে, এই রাস্তাটা শুকনো হতে আরও মাস দু’য়েক সময় দেওয়া উচিত ছিল।
আমি কেএমডিএ’কে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি। তারা তাদের এক্সপার্টদের পাঠিয়ে গোটা বিষয়ের তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন। আর এলাকার মানুষের যেটা বিক্ষোভ যে, বড় বা ভারী যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা, সেই বিষয়েও আমি আমার অফিসিয়াল প্যাডে আমার এলাকার সব বিল্ডার্সদের এবং আমাদের পাশের আরও দুটি ওয়ার্ডের বিল্ডার্সদের জানানো হয়েছে যেন তাঁরা এই মুহুর্তে বেশ কয়েক মাস এই রাস্তায় কোন ভারী যানবাহন প্রবেশ না করায়। কিন্তু তারপরও তারা কেন এমন কাজ করল আমি জানি না। তিনি আরও বললেন যে, এই রাস্তাটি শুধু আমার ওয়ার্ডের আওতায় পরে না, এখানে ৮ং ওয়ার্ডেরও কিছু অংশ আছে।
আর বিল্ডার্সদের গাড়ি শুধু আমার ওয়ার্ডেরই নয়, পাশাপাশি আরও দুটো মানে ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের থেকেও বিল্ডার্সদের গাড়ি এখানে অবাধে প্রবেশ করছে চিঠি দিয়ে বারণ করা স্বত্ত্বেও। তবে কি এলাকার বিল্ডার্স-প্রোমোটাররা তাদেরই এলাকার পৌর প্রতিনিধিদের লিখিত নিষেধ আজ্ঞাকে মানতে নারাজ নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য? তারা কি পৌরসভার প্রতিনিধিত্বকারী পুরপিতার প্যাডে লেখা কথাকেও আমল দিচ্ছে না? প্রশ্ন এলাকার আমজনতার।