জলের অভাবে চাষের ক্ষতি, দুশ্চিন্তায় চাষিরা!
HnExpress বাপ্পাদিত্য ঘোষাল, হাওড়া ঃ আমনের পরে এবার বোরো। ফের জল সংকটের মুখে হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকার তিনটি ব্লকের চাষিরা। গরমের আবহাওয়া সবে আসতে শুরু করেছে, তাতেই খাল-বিল শুকিয়ে গিয়েছে। তাহলে বোরো চাষ হবে কিভাবে? দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা। এখানকার চাষিরা বৃষ্টির জল বাদে চাষের জন্য ডিভিসি’র ছাড়া জলের উপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু গত বর্ষার মরশুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। ফলে আমন চাষে অনেক চাষিরা জল পাননি। চাষের জমিতে যেখানে মিনি ও ডিপ টিউবওয়েল নেই, সেই সব এলাকার চাষিরা বিপাকে পড়েন সব থেকে বেশি।
তবে চাষিরা ভেবেছিলেন আমনের ক্ষতিটা এবারের বোরো চাষে পুষিয়ে নেবেন। ডিভিসির জলে বোরো চাষ হয় মূলত হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকার উদয়নারায়নপুর, আমতা-১ এবং ২ নং ব্লকে। ডিভিসি যে জল ছাড়ে, দামোদর ও মুন্ডেশ্বরীর শাখা খালগুলির মাধ্যমে তা তিন ব্লকের গ্রামে আসে। সেই জলে চাষ হয়। খালগুলি এখন শুকনো। কিন্তু বোরো চাষে জল মিলবে না জেনে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। দামোদরের শাখা খাল মান্দারিয়ার জলে আমতা-১ নং ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েতে বোরো চাষ হয়। পাঁচটি পঞ্চায়েতের মধ্যে খোশালপুরের উপপ্রধান আবু কালাম বলেন, কোটালের যতটুকু জল খালে ঢুকেছিল।তা আর এল আই পাম্প দিয়ে তুলে কোনওমতে চাষিরা বীজতলা তৈরি করেছেন। এরপরে চাষ কিভাবে হবে বুঝতে পারছি না। কার্তিক দলুই নামে এক চাষি বলেন, ৫ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করি। পুকুরের জলে বীজতলা তৈরি করেছি।
কোটালের জল খালে যতটুকু এসেছিল তাতে কোনওমতে জমি ভেজানোর কাজ করেছি। কিন্তু ডিভিসির জল যদি না আসে, এই সব চারা নষ্ট হয়ে যাবে। সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ভালো বৃষ্টি না হওয়ায় রাজ্যের জলধারগুলিতে এমনিতেই জল নেই। প্রকৃতির উপর তো কারো হাত নেই। তবে আমরা প্রশাসনিকভাবে অতিরিক্ত মিনি পাম্প বসিয়ে চাষিদের জল দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনটি ব্লকের যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেখানকার চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তারা যেন বোরো চাষের বিকল্প ফসল চাষ করেন।