September 10, 2024
Advertisements

HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : রাজ্যের সিনেমা হলগুলি বন্ধের মুখে। কাল শুক্রবার থেকে মালিকরা হল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের অনুরোধে শেষ মুহূর্তে তাঁরা স্থগিত রাখেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তাঁরা জানিয়ে দেন, অবিলম্বে এই সব হলে রক্ষণাবেক্ষণ এর মাশুল ধার্য করতে রাজ্য লিখিত নির্দেশিকা না দিলে ৫ই অক্টোবর থেকে হলগুলি আর চালানো যাবে না।

ইস্টার্ণ ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইম্পা) প্রধান কৃষ্ণ দাগা, কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য শ্যামল দত্ত এবং এক্সিবিটর্স শাখার চেয়ারম্যান রতন সাহা বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান। তাঁরা বলেন, সিনেমাহল রক্ষনাবেক্ষণের খরচ সাঙ্ঘাতিক বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় টিকিটপিছু অবিলম্বে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলের জন্য ১০/-, ব্লোয়ার ও ফ্যান লাগানো হলের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৫/- ও ৩/- মেনটেনান্স চার্জ যুক্ত করার সরকারি নির্দেশিকা জারি করতে হবে।

ক‘দিন আগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অরূপ বিশ্বাস, অভিনেতা প্রসেনজিৎ, সংস্কৃতি সচিব বিবেক কুমার, নন্দনের সিইও মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইম্পা-র কর্তারা। কৃষ্ণবাবুর দাবি, সরকারের তরফে এই মাশুল ধার্য করার বিষয়টি নীতিগতভাবে মেনে নেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট লিখিত নির্দেশিকা জারি হয়নি।

ফলে, সিনেমাহলে টিকিটের সঙ্গে এই মাশুল যুক্ত করতে গিয়ে কিছু অসুবিধে হচ্ছে। ইম্পা-র কর্তারা জানান, কয়েক বছর আগেও এ রাজ্যে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭৩৫। তা ক্রমেই কমছে। এখন হয়েছে ১৪৭-এর মত। প্রতিটি হলে গড়ে ২০ জন কর্মী আছেন। পরোক্ষে এগুলির সঙ্গে নানা শ্রেণির আরও লোক জড়িত। হলগুলি বন্ধ হয়ে গেলে পুজোর মুখে সঙ্কটে পড়বেন কয়েক হাজার মানুষ। আরও বিপন্ন হবে বাংলার সিনেমাজগৎ।

ইম্পার কর্তারা বলেন, মহারাষ্ট্র, গোয়া, অসম, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যের সরকার সিনেমার টিকিটের সঙ্গে মেনটেনান্স চার্জ নেওয়ার লিখিত নির্দেশিকা জারি করেছে। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গেও এই নির্দেশিকা ছাড়া নিছক প্রশাসন ও সরকারের মৌখিক আশ্বাসে রূপায়িত করা যাচ্ছে না।

Advertisements

Leave a Reply