উলুবেড়িয়ায় ৩৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন
HnExpress বাপ্পাদিত্য ঘোষাল, হাওড়া : মহকুমা হাসপাতাল বলতে ছিল উলুবেড়িয়া হাসপাতাল। যেখানে পরিকাঠামোর বিস্তর অভাব ছিল। তাই ছোটখাটো অসুস্থাতেও গাড়ি ভাড়া করে ছুটে যেতে হত কলকাতায়।পরিকাঠামোর অভাব থাকায় রেফার করতে হতো রোগীদের। কিন্তু আজ ওই হাসপাতাল ঘরের অদূরেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে পাঁচতলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল! যার ভরসাতেই এ বার উলুবেড়িয়া মহকুমার স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফিরবে বলে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন রাষ্টমন্ত্রী নির্মল মাজী থেকে শুরু করে হাওড়ার এলাকাবাসী।
তবে এটাও ঘটনা, হাসপাতাল আকারে বিশাল হলেও পরিকাঠামোয় এখনও বিস্তর পিছিয়ে। উদ্বোধনের পরেও তাই গুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ থেকে স্বাস্থ্যকর্তা— সকলের মধ্যেই। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় -এর অনুপ্রেরণায় উদ্বোধন হলো উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। সেই উপলক্ষে হাসপাতালের সামনে মঞ্চ গড়ে ঘটা করে ফিতে কাটা হল। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রম রাষ্টমন্ত্রী ডাঃ নির্মল মাজি, এলাকার বিধায়ক পুলক রায়, উলুবেড়িয়া হাসপাতালের সুপার সহ বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর উলুবেড়িয়া সুপার হাসপাতাল ৩৫০ টি শয্যা বিশিষ্ট।
এখানে ইকো কাডিওগ্রাফি, ইউ এস জি, রেডিওলজি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এর সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। হাসপাতাল ভবনের ইতিমধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে গেলেও সম্পূর্ণ পরিষেবা পাওয়া যাবে আগামী এক সপ্তাহ পর থেকে। গাড়ি পার্কিং থেকে রোগীদের প্রতীক্ষালয়, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য প্রস্বাবাগার সবে-তেই আধুনিকতার ছোঁয়া। গোটা ভবন ও ভবন চত্বর মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় নীল- সাদা রঙে রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ভিতরের রিসেপশন থেকে আসবাবপত্র, সব কিছুতেই শৌখিনতা ঠিকরে পড়ছে।
লাঠিতে ভর দিয়ে অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন বছর ষাট এর এক বৃদ্ধ, একগাল হেসে তিনি বললেন, “আমি চোখে ভাল দেখতে পাই না। কলকাতাতে চিকিৎসা করাচ্ছি। তবে আজ হাসপাতালটা দেখে মনে হচ্ছে, আর বেশি দিন আমাকে কলকাতা যেতে হবে না। এবার থেকে ঘরের কাছেই চিকিৎসা করাতে পারব।’’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ অতিথি ডাঃ নির্মল মাজী তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলায় নবজাগরণ হয়েছে। নাম না করে জেলার বিগত তিন মন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে বলেন তারা চেষ্টা করলেও উলুবেড়িয়ার হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজের রূপ দিতে পারেনি। কিন্তু আমি এবং পুলক রায়ের যৌথ প্রচেষ্টায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় আজ উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রূপ পেল।