বাংলা শিল্পপতিদের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রনব চন্দ্র

HnExpress শুভব্রত মুখার্জি, কলকাতা : বাংলা ও বাঙালির জীবনের অন্যতম অঙ্গ বলা চলে সান্ধ্যকালীন স্ন্যাকস সহযোগে আড্ডা। চায়ের কাপে তুফান তুলে স্ন্যাকস সহযোগে রাজনীতি থেকে খেলাধুলার জগৎ সর্বত্রই অবাধ বিচরণ বাঙালির। সেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বাঙালির সান্ধ্যকালীন স্ন্যাকসের অন্যতম সেরা নাম ‘মুখরোচক’ চানাচুর এবং স্ন্যাকস। পঞ্চানন চন্দ্রের হাত ধরে ১৯৫০ সাল থেকে পথ চলা শুরু করা আজ এক ‘মহীরুহে ‘ পরিনত তিনপুরুষের এই ব্যবসা। এই কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান প্রনব চন্দ্রের হাত ধরে সেই সুস্বাদু স্ন্যাকস আজ শুধু আন্ঞ্চলিক মঞ্চ নয় রাষ্ট্রীয় এবং বিশ্ব মন্ঞ্চেও করে নিয়েছে এক অনন্য স্থান। তার স্বীকৃতি স্বরুপ সম্প্রতি সংস্থার চেয়ারম্যানকে ভারতখ্যাত টাইমস অফ গ্রুপ স্ন্যাকস বিভাগে ভারত সেরার শিরোপা তুলে দিয়েছেন। আগামীকাল এবিপি গ্রুপ থেকে তার মুকুটে যুক্ত হতে চলেছে শিরোপার এর নতুন ‘পালক’। আর এই সুন্দর মুহুর্তটাকে আজ ঈশ্বরের আর্শিবাদযুক্ত হিসেবে পিতা যীশু খ্রীষ্টের নামে ভক্তিগীতি ও উপাসনা এবং তাঁর দীর্ঘায়ূ কামনার প্রার্থানার মধ্য দিয়ে ‘যীজাস লাভস মিনিস্ট্রি’ চার্চ এবং ট্রাস্টের পক্ষ থেকে কেক কেটে, ফুলের তোড়া দিয়ে যথাযথ সম্মাননা প্রদান করা হয় উজ্জ্বল নক্ষত্র “প্রনব চন্দ্র”কে। এই অনুষ্ঠানে চার্চের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন জয়কুমার গুগু, প্রশান্ত মন্ডল, শ্যামল ঘোড়ুই সহ চার্চের অন্যান্য বিশ্বাসীবর্গ।
সেই প্রনব চন্দ্র বাবু আজ আমাদের HnExpress এর সংবাদ প্রতিনিধিকে ওঁনার নিজস্ব কার্যালয়ের কেবিনে বসে একান্ত সাক্ষ্যাৎকারে এই বিশেষ মুহুর্তের অনুভূতির কথা জানালেন। তিনি বললেন “মার্কেট লিডার হিসেবে পাওয়া এই পুরস্কার আমাকে আরও এগিয়ে যাওয়ার এনার্জি দেবে, সাথে চার্চের পক্ষ থেকে পাওয়া এই সম্মান এবং ঈশ্বরের অপার অনুগ্রহ আমাকে অনুপ্রেরণা দেবে ভবিষ্যতে আরও বড় কাজ করতে। তিনি আরও জানালেন যে, এই বিশেষ এ্যাওয়ার্ড পেতে কার না ভাল লাগে বলুন, সেটা তো জগৎ এর কাছ থেকে পাওয়া এক বড় সম্মান। কিন্তু তার সাথে আজকে চার্চ থেকে পাওয়া এই অকৃত্তিম শ্রদ্ধা-ভালবাসা ও সহভাগিতা আমার জীবনের পাওয়া সব থেকে বড় সম্মান বলে আমি মনে করি, আর তার জন্য ধন্যবাদ জানাই ঈশ্বরকে ও পাষ্টার জয়কুমার গুগুকে সহ সকল বিশ্বাসীদের।
এছাড়াও তিনি বললেন, আমার কোম্পানি শুধুমাত্র বিজনেসই করে এমন নয়, আমরা সারা বছর ধরেই সামাজিক নানা ক্রিয়াকলাপও করে থাকি। যেমন, গরীব দিন-দুঃখী এবং বেশ কিছু বিধবা মহিলাদের সারা বছরের অন্ন-বস্ত্র দান করা, দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের সারাবছরের বই ও পড়ার সামগ্রী প্রদান প্রভৃতি। তবে সেইসব কর্মকাণ্ডকেও আমি ভবিষ্যতে আরো বৃহৎ আকার দিতে চাই আপনাদের সকলের সহযোগীতা ও করুনাময় ঈশ্বরের অনুগ্রহকে পাথেয় করে।”