আমরাই ঝাড়গ্রামের ৯০ শতাংশ গ্রামপাঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করবো : পার্থ চ্যাটার্জী
HnExpress বিশেষ প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম : রাত পোহালেই জঙ্গলমহল জুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। তার ঠিক একদিন আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী পার্থীদের নিয়ে ব্লক ভিত্তিক ভাবে একের পর এক করে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন নবগঠিত পঞ্চায়েতের কে প্রধান, আর কে উপ -প্রধান হবেন। এছাড়াও এদিন বিজেপির বেশ কিছু জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন। আলোচনা শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, আমরা ঝাড়গ্রামের ৯০ শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করবো। এদিনের আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, যে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন হবে। সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রার্থীরা ও অঞ্চল সভাপতি মিটিং করে ব্লক সভাপতির কাছে নাম প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারই আজ পুনর্বিবেচনা করে ও জয়ী পার্থীদের মতামত নিয়ে পার্থবাবু গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির প্রধান ও উপপ্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। যে সকল গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে সমস্যা ছিলো সেগুলি পার্থবাবু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর কার্যত চোখের ঘুম উড়ে গিয়েছিল তৃনমূলের। উত্থান হয়েছিলো গেরুয়া শিবিরের। অন্যদিকে বেল পাহাড়িতে আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চের উত্থান ঘটে। ঝাড়গ্রাম জেলার মোট ৭৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল দখল নিয়েছিলো ৪১ টি ও বিজেপি ২৪ টি, আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ ৩ টি ছিল। আজকের এই কর্মসূচির পর একাংশের মতে তৃণমূলের অঙ্কটা পরিবর্তন হতে চলেছে। গতকাল জামবনী ও লালগড় ব্লকের বোর্ড গঠন রয়েছে। নির্ধারিত তারিখে বিভিন্ন ব্লক গুলির বোর্ড গঠন চলবে।
এদিন পার্থবাবু বললেন, ত্রিস্তরের জয়ী দলের প্রার্থী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জঙ্গলমহলের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের দলে যারা আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তাদের সুদীর্ঘ সময়ে ধরে ধরে ব্লক ভিত্তিক সাংগঠনিক কথাবার্তা বলেছি। জঙ্গলমহলের শান্তি, সংহতি ও উন্নয়ন সেটাকে আরও উন্নতর করার জন্য জঙ্গলমহলের প্রত্যেকের কাছে আমরা আবেদন করছি। আমার এখনকার নব্বই শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করছি। মানুষ আমাদের পাশে ছিল, আছে আর থাকবে।