আমডাঙ্গা এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে
HnExpress মোঃ মনিরুল, আমডাঙ্গা : পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন কে ঘিরে মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠল আমডাঙ্গা। গতকাল বোর্ড গঠনের প্রাক্কালে নজির বিহীন ভাবে আমডাঙ্গায় গুলি আর বোমার ফোয়ারা ছুটল। একাধিক প্রানহানীর আশংকাকে বাস্তবে সত্যি প্রমান করে আমডাঙ্গার বহিসগাছিতে সন্ধ্যে এর মধ্যেই প্রান হারালেন দুই তৃনমূল কর্মী সমর্থক। এদিন কুদ্দুস আলী গনি (৪৫) ও নাসির হালদার নামে দুই তৃনমূল সমর্থক প্রান হারিয়েছেন ।
বারাসত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে আরো আহত চার তৃনমূল কর্মী সমর্থককে। তৃনমূল হতাহতদের দেখতে ও পরিস্থিতি জানতে বারাসাত হাসপাতালে রাত এগারোটা নাগাদ উপস্থিত হন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও আমডাঙ্গার বিধায়ক রফিকার রহমান ।
তবে আরো বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে , পুলিশ সুত্ররে ধারনা মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে । সিপিএম ও বিজেপি যাদের ওপরে তৃনমূল নেতৃত্ব এই প্রানহানীর ঘটনার দায় চাপিয়েছেন তাদের তরফে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর অপর পক্ষেও হতাহতর খবর রয়েছে। স্থানীয়দের মতে সন্ধ্যের পর থেকে যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে আমডাঙ্গা।
আমডাঙ্গার মরিচা, বোদাই ও তারাবেরিয়া তে আসন্ন বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যের পর থেকে এলাকায় চলে নির্বিচার গোলাগুলি। মুড়ি মিছরির মত বোমা বৃষ্টি হয় যা নজির বিহীন । দীর্ঘস্থায়ী গ্যাং ওয়ারের রূপ নেয় আমডাঙ্গা, বিশেষত বহিসগাছি ও তারাবেড়িয়া এলাকায়। দীর্ঘক্ষন এলাকায় পুলিশ ঢুকতে পারে নি । আমডাঙ্গা সহ প্রায় চারটি থানার পুলিশ মিলেও এলাকাতে প্রাথমিক ভাবে ঢুকতে পারে নি। রাতের দিকে আরো পুলিশ বাহিনী যায় তারপরে দেহ আনতে সক্ষম হয় পুলিশ। তৃণমূলের যে চারজনকে বারাসাত হাসপাতালে আনা হয় তাঁরা হলেন নজিমূল গাজী, রবিউল, আনোয়ার হোসেন ও ফৈজল হক, এদের মধ্যে একজন এর অবস্থা আশংকাজনক।
আমডাঙ্গার পরিস্থিতি এখনো থমথমে। আরো বড় কোন বিপদের আশংকা উড়িয়ে দিচ্ছে না এলাকাবাসী।