দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার এপিসি কলেজে

HnExpress অলোক আচার্য, নিউব্যারাকপুর : বিঞ্জানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৫৭ তম জন্মদিবসকে সামনে রেখে ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটি এর সহযোগিতায় নিউব্যারাকপুর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র মহাবিদ্যালয় আয়োজন করে দু’দিনের একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার। সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল —সুসংহত উন্নয়নের প্রতি সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞানের ভূমিকা। সোমবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বাসব চৌধুরী এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুখেন মজুমদার, নিউব্যারাকপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদার,স্থানীয় পৌরপিতা মনোজ সরকার ও জয়গোপাল ভট্টাচার্য, রিপাবলিক অফ্ কোরিয়া, ইনস্টিটিউট অফ বেসিক সায়েন্সের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ডব্লিউ বিয়েলাওয়াসি, ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল মুখার্জি, সম্পাদক অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন সিনহা, গবেষণা অধ্যাপক সমীর কুমার পাল, এপিসি কলেজের অধ্যক্ষ ড. শক্তিব্রত ভৌমিক, পরিচালন সমিতির সভাপতি ড. নিখিল চন্দ্র হালদার, সদস্য ড. বিধান চন্দ্র মন্ডল, সেমিনারের আহ্বায়ক ড. সন্দীপ সাহা, ড. এন আর অধিকারী প্রমুখ সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন কলেজ থেকে আগত গবেষক, অধ্যাপক ও ছাত্র ছাত্রী সহ ৩৫০ জন এই সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেন। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, এই কলেজে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। এখান থেকে স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ুয়ারা গবেষণা করছে। এই কলেজের একটা সুনাম রয়েছে। সেই সুনামকে ধরে রাখতে কলেজ এগিয়ে চলেছে। কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পিতামাতাকে সবসময় সম্মান দিতে হবে। উচ্চ শিক্ষার প্রসারে শিক্ষকদের পাশাপাশি বাবামায়েদের শ্রদ্ধার সাথে সম্মান জানাতে হবে। কলেজের নামকরণ বিঞ্জানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের নামে। তার নামে বেঙ্গল কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠান। বর্তমান বিঞ্জানের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিকল্পনা উন্নতিকরণের বিস্তার লাভ করা যায় — সেইসব বিষয়বস্তু নিয়ে সেমিনারে আলোকপাত করেন আবুধাবি, দ: কোরিয়া, বেনারস, হরিয়ানা সহ বাংলা থেকে আগত বিভিন্ন গবেষক, বিঞ্জানী, অধ্যাপক অধ্যাপিকা, ছাত্র ছাত্রীরা। জীবজগতের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে পলিথিন বা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ কি ক্ষতি করে, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক সমীর কুমার পাল। দুদিন ব্যাপী এই সেমিনারটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে রইল।