বিশ্ব জুরে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃদিবস
HnExpress বিশেষ প্রতিবেদন ঃ প্রত্যেক বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে উৎযাপিত হয় ‘মাদার্স ডে’ বা ‘মাতৃদিবস’।
এই দিনটি বিশেষ ভাবে শুধুমাত্র মায়েদের জন্যই উৎযাপন করা হয়। বিদেশি জার্নাল সুত্র অনুযায়ী, সর্বপ্রথম অ্যানা জারভিস এই ‘মাদার্স ডে’ শুধুমাত্র মায়েদেরকেই উপলক্ষ করে পালন করার জন্য উদ্যোগী হন।
১৯০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার সেন্ট অ্যান্ড্রুজ মেথডিস্ট চার্চে প্রথম উৎযাপিত হয় এই ‘মাদার্স ডে’ বা ‘মাতৃদিবস’। ১৯০৫ সালে অ্যানা জারভিস মায়েদের জন্য এই বিশেষ দিনের দাবিতে প্রচারে নামেন আর সফলও হন। কারণ শেষ পর্যন্ত উড্রো উইলসন ‘মাদার্স ডে’ উপলক্ষে এই দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষনা করেন।
১৯১১ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্রই এই দিনটাকে উৎযাপন করা হয়। আর ভারতে ১৯৯০ এর-দশক থেকে এই দিনটি ‘ইন্টারন্যাশনল মাদার্স ডে’ বা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃদিবস’ হিসাবে প্রত্যেক ঘরে ঘরে পালিত হয়। একটি ফুলের তোড়া বা কোনো দামী উপহার দিয়ে পালিত হয় এইদিনটি, আবার কোথাওবা কেক কেটে, পার্টি দিয়ে পালন করা হয়, নতুবা সারাদিন মায়ের সাথেই মজা, আনন্দ করেও পালন করা হয় মাতৃদিবস।
“মা”—-
‘মা’ একটি অতি ছোট্ট শব্দ, কিন্ত কি বিশাল যে তার পরিধি ভাষায় বর্ননা করা যাবে না। সৃষ্টির আদিমলগ্ন থেকেই মধুর এই শব্দটা শুধু মমতার নয়, ক্ষমতারও যেন সর্বোচ্চ আধার। আর সেই ঈশ্বর সৃষ্ট মায়ের অনুগ্রহ ছাড়া কোনো প্রাণীরই প্রাণ ধারণ করা সম্ভব নয়। আর ঠিক তেমনই, এই মায়ের হাত ধরেই সন্তান প্রথম চলতে শুরু করে, কথা বলতে শেখে, যার প্রথম উচ্চারণটাই হয় মা বলে। কত শত লড়াই, কত ত্যাগ, কত কষ্ট বা লাঞ্ছনা বা অভাবের কষ্টকেও বুকে চেপে হাসি মুখে সন্তানের দায়িত্ব পালন করে গেছে।
তবে যেখানে মায়ের অবদান অপার আজ সেখানে সেই সমাজের বুকেই কিছু কুলাঙ্গার সন্তানের জন্য বহু মায়েরই শেষ বয়সের আশ্রয় হয় সমাজের তৈরি বৃদ্ধাশ্রম নামক জেলখানায়।
যারা নিজের মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেন তারা ভুলে যান এই মায়ের জন্যই আজ পৃথিবীর আলো দেখছেন তারা, তাদের জন্যই সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন। তাই যারা নিজের মায়ের দায়িত্ব এড়াতে মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠান তারা নিজের মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর আগে একবার ভাবুন, যে মা দায়িত্বশীল হয়ে আপনাকে পালন করে মানুষ করল, তাকে যেমন অবহেলা করে দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি পেতে এখানে রেখে যাচ্ছেন, কাল আপনার সন্তানও আপনাদের এখানেই ফেলে দিয়ে যাবে। ভুলে যাবেন না মায়ের অকৃত্রিম স্নেহ ভালোবাসাই আপনাকে একটা মস্ত মানুষে পরিণত করেছে আজ।
মা ছাড়া একটা সংসার কখনোই সম্পূর্ণ হয়না।
প্রত্যেক সংসারে মায়ের ভুমিকা অপরিসীম।
তাই এই ‘মাদার্স ডে’ কোনো নির্দিষ্ট একদিন পালনেই মাতৃত্বকে কে তার যোগ্য সন্মান দেওয়া হয়না, প্রতিটি দিন আপনাদের কাছে হয়ে উঠুক শুভ মাতৃদিবস। আজ থেকে প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিনিয়ত প্রতিমূহুর্তে মন থেকে পালিত হোক আন্তর্জাতিক মাতৃদিবস। তাই আজ আমাদের HnExpress চ্যানেলের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মাকে জানাই মাতৃদিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও বিনম্র শ্রদ্ধা।