অস্থির, উদভ্রান্ত সময়েই গান বেঁধে আশার কথা শোনাচ্ছে বাংলা ব্যান্ড ক্যানভাস
HnExpress ২রা মে, নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ সময়টা বেশ ভয়ের। সময়টা বেশ কঠিন। সময়টা বেশ ভাবাচ্ছে। পৃথিবীর বুকে আজ মৃত্যুর হাহাকার। আদৌ আমরা বাঁচব কি? এক অদ্ভুত মারণ ভাইরাসের তান্ডবে ত্রস্ত গোটা দুনিয়া। তবে কি পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাবে ঈশ্বরের প্রার্থনা? শিশুর হাসি? মানুষের কলরব? মৃত্যুর কাছে পরাজিত হবে জীবন? সভ্যতার ইতিহাসে আমরাই তো ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়েছি, এবার কি পারব না? এই অস্থির, উদভ্রান্ত সময়েই গান বেঁধে আশার কথা শোনাচ্ছে বাংলা ব্যান্ড ক্যানভাস।
শহরটা বড় নিঃসঙ্গ। আজ কথা বলার মত কেউ নেই। গড়িয়াহাট একা একা বসে আছে গালে হাত দিয়ে, কলেজ স্ট্রিট, কফি হাউসের আড্ডা ভ্যানিশ। হাতিবাগানের হৈচৈ একদম ঠান্ডা। কেমন গুম মেরে বসে আছে এসপ্ল্যানেড, পার্ক স্ট্রিট। এসব কি কেউ ভেবেছিল? কে জানত এমন এক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে, চুপিচুপি, হামাগুড়ি দিয়ে। এক সময় এই আশঙ্কাটাই সত্যি হল। দেশের বুকে আছড়ে পড়ল করোনার তান্ডব। লকডাউনে চলে গেল গোটা দেশ। এক নিমেষে সব শান্ত, স্তব্ধ।
এর মধ্যেই চলছে বাঁচার লড়াই। গানের কথা ও সুর সুদীপ্ত ব্যানার্জির। কি-বোর্ডে অভিনন্দন ব্যানার্জি। প্রোগ্রামিং অ্যান্ড অ্যারেঞ্জমেন্টে দীপ্তায়ন মজুমদার, বাস গিটার অ্যান্ড সাপোর্টিং গিটার, সৃজন মুখার্জী। ড্রামসে শুভম ঘোষ। বাংলা ব্যান্ডের পথ চলায় ক্যানভাস অতি পরিচিত এক নাম। সময়ের কথাই বারবার উঠে এসেছে এদের গানে। লক ডাউনের এই ঘর বন্দি সময়েও গানের কথায় ছবি আঁকছে ক্যানভাস। জীবনের ছবি, বেঁচে থাকার ছবি, জোট বাঁধার ছবি। ক্যানভাস পথ চলা শুরু করে সেই সাতের দশকে।
তারপর অনেক চড়াই উতরাই, অনেক যুদ্ধ। দল গড়া আর দল ভাঙার যন্ত্রণা বুকে চেপেই এগিয়ে চলেছে এই ব্যান্ড। একলা চলার শপথ নিয়েই আজও স্বপ্ন দেখে ও দেখায় ক্যানভাস। আজ আবার জোট বেঁধে থাকার কথাই বলছে এই গানওয়ালারা। সময়ের প্রহরী হয়েই বাকি গানওয়ালাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ব্যান্ডের লড়াকু যোদ্ধারা। লক ডাউন যতদিন না কাটছে ততদিন এইভাবেই থাকতে হবে, একসাথে, জোট বেঁধে। গানে গানেই সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে চায় ক্যানভাস।